শিক্ষকের মর্যাদা কি?
শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি আমার সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকা গণকে, যাদের আন্তরিকতা, স্নেহ, ভালোবাসা ও সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা না পেলে হয়তো আমিও আজ অক্ষর জ্ঞানহীন হয়ে থাকতাম, অথবা কোনো এক অকৃতজ্ঞের তালিকায় বসবাস করতাম। হে আল্লাহ তুমি আমাদের বিবেক জ্ঞান কে জাগ্রত করে দাও, তবে জ্ঞানপাপী ও অহংকারী করিওনা। আমরা জানি, একমাত্র আল্লাহই অমুখাপেক্ষী, বাকি সবাই মুখাপেক্ষী। তাই জীবন চলার পথে সকলকে সকলের জীবনে মুখাপেক্ষী হতে হবে। আমিও তাই। কারণ আমাদের একটা সমাজ আছে, সম্প্রদায় আছে , জীবন জীবিকার তাগিদে আমরা একে অপরের কাছে যাই। তাই আমাদের মাঝে সুসম্পর্কের বন্ধন তৈরি করে দিন।
তা না হলে দুঃখে ক্ষোভে মন থেকে অব্যক্ত আন্দোলন জেগে উঠবে যা হয়তো কখনো প্রকাশ পাবেনা।
"শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার,
শেখাতে হবে এই অকৃতজ্ঞ সম্প্রদায়কে আবার।।"
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক ঘটনা ঘটে, আর একজন শিক্ষকের সমাজে অনেক কিছুরই সীমাবদ্ধতা থাকে, তারপরেও সমাজ তাকে দমিয়ে রাখার চেস্টা করে। তাদের নাকি শিক্ষকতাই করা উচিৎ, উনারা উদ্যোগ / বিজনেস এর কি বঝে, জাতীয় নেতা তো দূরে কথা, ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ার্ড মেম্বারেরও অনেক সময় সমর্থন পায়না (সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নহে)।
এর কারনঃ
আপনি একজন অশিক্ষক হয়ে আরেকজন অশিক্ষকের (কিন্তু শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত) সামনে শুধু একটু শিক্ষক সম্পর্কে সমালোচনার সূত্র বা পয়েন্ট বের করে দিবেন। দেখবেন একজন শিক্ষকের নয় শুধু, পুরো শিক্ষক সম্প্রদায়কে উড়াধুরা করে ছেড়ে দিতে কুন্ঠিত হবেনা।
যেমন:
- আড়ালে কখনো স্যার তো বলবেইনা, বলবে মাস্টার (অথচ এরা জানেনা, যে অবজ্ঞার ভঙ্গিতে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে মাস্টার বলে সম্বোধন করে, সেই মাস্টার মানে কি? তাই না জেনে একজন শিক্ষককে সির বলতে সংকোচ মনে হলে ভাই বা বয়স অনুযায়ী সম্বোধন করেন, প্রয়োজনে ছোট মনে হলে নাম ধরে ডাকেন, তবুও মাস্টার বলবেন না, বলে নিজেকেই ছোট করবেন না।)
-মাস্টার মানুষ তো, সবাইকে শেখাতে চায়।
- সবাইকে ছাত্র মনে করে।
- নিজেকে অন্য প্রতিষ্ঠিত ছাত্রের রেফারেন্স দেয়।
- দোকানদার রা ভাবে বাকিখোর।
- মাস্টার মানুষ তো, খুব কৃপণ।
আরো কত কি। মানলাম, সব অভিযোগ সত্য এতই যদি বিতৃষ্ণা শিক্ষক সম্প্রদায়ের উপরে, তাহলে এখনও কেনো নিজের সন্তানকে শিক্ষকের দ্বারস্থ করেন? অনেক তো টাকা, নাম, জস, খ্যাতি হয়েছে, একটু জ্ঞানটাকে সেই অবজ্ঞা জাতির কাছে ফেরত দিয়ে আসি এবং ঋণ মুক্ত হয়ে যাই, সেইসাথে সময়।
কখনও স্কুলের ত্রিসীমানায় গিয়ে পরালেখা করে থাকলে নিচের কথাগুলো মনে প্রানে একবার বুঝে পড়ি, অহঙ্কার আর অবজ্ঞা থাকবেনা।--
"মানুষেরও যে আকাশের মতো হৃদয় থাকতে পারে,
তাকে না দেখলে হয়তো আমার দেখাই হতোনা।
রূপকথারও বাইরে যে এক বিশাল জগৎ আছে,
তার কাছে না শুনলে বোধ্যশুনাই হতোনা।
আজকে আমার এই পৃথিবীর অনেক কিছুই চেনা,
ব্ল্যাকবোর্ডের ওই কালো আকাশ আমায় এনে দেনা।
এনে দেনা বয়স টা সেই ছয় কিংবা সাত,
হয়তো তখন ফিরে পেতাম স্যার এর কোমল হাত।
সালাম জানাই সহস্রবার আমার যিনি গুরু,
যার কাছে হয়েছিল শিক্ষা জীবন শুরু।।"
শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি আমার সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকা গণকে, যাদের আন্তরিকতা, স্নেহ, ভালোবাসা ও সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা না পেলে হয়তো আমিও আজ অক্ষর জ্ঞানহীন হয়ে থাকতাম, অথবা কোনো এক অকৃতজ্ঞের তালিকায় বসবাস করতাম। হে আল্লাহ তুমি আমাদের বিবেক জ্ঞান কে জাগ্রত করে দাও, তবে জ্ঞানপাপী ও অহংকারী করিওনা। আমরা জানি, একমাত্র আল্লাহই অমুখাপেক্ষী, বাকি সবাই মুখাপেক্ষী। তাই জীবন চলার পথে সকলকে সকলের জীবনে মুখাপেক্ষী হতে হবে। আমিও তাই। কারণ আমাদের একটা সমাজ আছে, সম্প্রদায় আছে , জীবন জীবিকার তাগিদে আমরা একে অপরের কাছে যাই। তাই আমাদের মাঝে সুসম্পর্কের বন্ধন তৈরি করে দিন।
তা না হলে দুঃখে ক্ষোভে মন থেকে অব্যক্ত আন্দোলন জেগে উঠবে যা হয়তো কখনো প্রকাশ পাবেনা।
"শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার,
শেখাতে হবে এই অকৃতজ্ঞ সম্প্রদায়কে আবার।।"
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক ঘটনা ঘটে, আর একজন শিক্ষকের সমাজে অনেক কিছুরই সীমাবদ্ধতা থাকে, তারপরেও সমাজ তাকে দমিয়ে রাখার চেস্টা করে। তাদের নাকি শিক্ষকতাই করা উচিৎ, উনারা উদ্যোগ / বিজনেস এর কি বঝে, জাতীয় নেতা তো দূরে কথা, ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ার্ড মেম্বারেরও অনেক সময় সমর্থন পায়না (সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নহে)।
এর কারনঃ
আপনি একজন অশিক্ষক হয়ে আরেকজন অশিক্ষকের (কিন্তু শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত) সামনে শুধু একটু শিক্ষক সম্পর্কে সমালোচনার সূত্র বা পয়েন্ট বের করে দিবেন। দেখবেন একজন শিক্ষকের নয় শুধু, পুরো শিক্ষক সম্প্রদায়কে উড়াধুরা করে ছেড়ে দিতে কুন্ঠিত হবেনা।
যেমন:
- আড়ালে কখনো স্যার তো বলবেইনা, বলবে মাস্টার (অথচ এরা জানেনা, যে অবজ্ঞার ভঙ্গিতে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে মাস্টার বলে সম্বোধন করে, সেই মাস্টার মানে কি? তাই না জেনে একজন শিক্ষককে সির বলতে সংকোচ মনে হলে ভাই বা বয়স অনুযায়ী সম্বোধন করেন, প্রয়োজনে ছোট মনে হলে নাম ধরে ডাকেন, তবুও মাস্টার বলবেন না, বলে নিজেকেই ছোট করবেন না।)
-মাস্টার মানুষ তো, সবাইকে শেখাতে চায়।
- সবাইকে ছাত্র মনে করে।
- নিজেকে অন্য প্রতিষ্ঠিত ছাত্রের রেফারেন্স দেয়।
- দোকানদার রা ভাবে বাকিখোর।
- মাস্টার মানুষ তো, খুব কৃপণ।
আরো কত কি। মানলাম, সব অভিযোগ সত্য এতই যদি বিতৃষ্ণা শিক্ষক সম্প্রদায়ের উপরে, তাহলে এখনও কেনো নিজের সন্তানকে শিক্ষকের দ্বারস্থ করেন? অনেক তো টাকা, নাম, জস, খ্যাতি হয়েছে, একটু জ্ঞানটাকে সেই অবজ্ঞা জাতির কাছে ফেরত দিয়ে আসি এবং ঋণ মুক্ত হয়ে যাই, সেইসাথে সময়।
কখনও স্কুলের ত্রিসীমানায় গিয়ে পরালেখা করে থাকলে নিচের কথাগুলো মনে প্রানে একবার বুঝে পড়ি, অহঙ্কার আর অবজ্ঞা থাকবেনা।--
"মানুষেরও যে আকাশের মতো হৃদয় থাকতে পারে,
তাকে না দেখলে হয়তো আমার দেখাই হতোনা।
রূপকথারও বাইরে যে এক বিশাল জগৎ আছে,
তার কাছে না শুনলে বোধ্যশুনাই হতোনা।
আজকে আমার এই পৃথিবীর অনেক কিছুই চেনা,
ব্ল্যাকবোর্ডের ওই কালো আকাশ আমায় এনে দেনা।
এনে দেনা বয়স টা সেই ছয় কিংবা সাত,
হয়তো তখন ফিরে পেতাম স্যার এর কোমল হাত।
সালাম জানাই সহস্রবার আমার যিনি গুরু,
যার কাছে হয়েছিল শিক্ষা জীবন শুরু।।"
শিক্ষকের মর্যাদা কি?
শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি আমার সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকা গণকে, যাদের আন্তরিকতা, স্নেহ, ভালোবাসা ও সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা না পেলে হয়তো আমিও আজ অক্ষর জ্ঞানহীন হয়ে থাকতাম, অথবা কোনো এক অকৃতজ্ঞের তালিকায় বসবাস করতাম। হে আল্লাহ তুমি আমাদের বিবেক জ্ঞান কে জাগ্রত করে দাও, তবে জ্ঞানপাপী ও অহংকারী করিওনা। আমরা জানি, একমাত্র আল্লাহই অমুখাপেক্ষী, বাকি সবাই মুখাপেক্ষী। তাই জীবন চলার পথে সকলকে সকলের জীবনে মুখাপেক্ষী হতে হবে। আমিও তাই। কারণ আমাদের একটা সমাজ আছে, সম্প্রদায় আছে , জীবন জীবিকার তাগিদে আমরা একে অপরের কাছে যাই। তাই আমাদের মাঝে সুসম্পর্কের বন্ধন তৈরি করে দিন।
তা না হলে দুঃখে ক্ষোভে মন থেকে অব্যক্ত আন্দোলন জেগে উঠবে যা হয়তো কখনো প্রকাশ পাবেনা।
"শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার,
শেখাতে হবে এই অকৃতজ্ঞ সম্প্রদায়কে আবার।।"
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক ঘটনা ঘটে, আর একজন শিক্ষকের সমাজে অনেক কিছুরই সীমাবদ্ধতা থাকে, তারপরেও সমাজ তাকে দমিয়ে রাখার চেস্টা করে। তাদের নাকি শিক্ষকতাই করা উচিৎ, উনারা উদ্যোগ / বিজনেস এর কি বঝে, জাতীয় নেতা তো দূরে কথা, ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ার্ড মেম্বারেরও অনেক সময় সমর্থন পায়না (সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নহে)।
এর কারনঃ
আপনি একজন অশিক্ষক হয়ে আরেকজন অশিক্ষকের (কিন্তু শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত) সামনে শুধু একটু শিক্ষক সম্পর্কে সমালোচনার সূত্র বা পয়েন্ট বের করে দিবেন। দেখবেন একজন শিক্ষকের নয় শুধু, পুরো শিক্ষক সম্প্রদায়কে উড়াধুরা করে ছেড়ে দিতে কুন্ঠিত হবেনা।
যেমন:
- আড়ালে কখনো স্যার তো বলবেইনা, বলবে মাস্টার (অথচ এরা জানেনা, যে অবজ্ঞার ভঙ্গিতে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে মাস্টার বলে সম্বোধন করে, সেই মাস্টার মানে কি? তাই না জেনে একজন শিক্ষককে সির বলতে সংকোচ মনে হলে ভাই বা বয়স অনুযায়ী সম্বোধন করেন, প্রয়োজনে ছোট মনে হলে নাম ধরে ডাকেন, তবুও মাস্টার বলবেন না, বলে নিজেকেই ছোট করবেন না।)
-মাস্টার মানুষ তো, সবাইকে শেখাতে চায়।
- সবাইকে ছাত্র মনে করে।
- নিজেকে অন্য প্রতিষ্ঠিত ছাত্রের রেফারেন্স দেয়।
- দোকানদার রা ভাবে বাকিখোর।
- মাস্টার মানুষ তো, খুব কৃপণ।
আরো কত কি। মানলাম, সব অভিযোগ সত্য এতই যদি বিতৃষ্ণা শিক্ষক সম্প্রদায়ের উপরে, তাহলে এখনও কেনো নিজের সন্তানকে শিক্ষকের দ্বারস্থ করেন? অনেক তো টাকা, নাম, জস, খ্যাতি হয়েছে, একটু জ্ঞানটাকে সেই অবজ্ঞা জাতির কাছে ফেরত দিয়ে আসি এবং ঋণ মুক্ত হয়ে যাই, সেইসাথে সময়।
কখনও স্কুলের ত্রিসীমানায় গিয়ে পরালেখা করে থাকলে নিচের কথাগুলো মনে প্রানে একবার বুঝে পড়ি, অহঙ্কার আর অবজ্ঞা থাকবেনা।--
"মানুষেরও যে আকাশের মতো হৃদয় থাকতে পারে,
তাকে না দেখলে হয়তো আমার দেখাই হতোনা।
রূপকথারও বাইরে যে এক বিশাল জগৎ আছে,
তার কাছে না শুনলে বোধ্যশুনাই হতোনা।
আজকে আমার এই পৃথিবীর অনেক কিছুই চেনা,
ব্ল্যাকবোর্ডের ওই কালো আকাশ আমায় এনে দেনা।
এনে দেনা বয়স টা সেই ছয় কিংবা সাত,
হয়তো তখন ফিরে পেতাম স্যার এর কোমল হাত।
সালাম জানাই সহস্রবার আমার যিনি গুরু,
যার কাছে হয়েছিল শিক্ষা জীবন শুরু।।"
0 Comments
0 Shares
221 Views
0 Reviews