অল্প পুঁজিতে বিজনেস এর আইডিয়া নিয়ে আলোচনা

1
2K
 
সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ভালোবাসা রইলো।
 
আপনি ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন। আপনাকে অভিনন্দন।
তবে যেকোনো ব্যবসা করতে গেলে প্রথমেই পুজির কথা ভাবতে হয়। কারন পুঁজি হচ্ছে ব্যবসায়ের প্রাণ, কেননা পুঁজি না থাকলে আপনার কোন উদ্যোগ শুরু করতে অনেক বেগ পেতে হবে যদি কোনো ইনভেস্টর না থাকে। তবে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে পুঁজির চেয়ে বড় অদৃশ্য সম্পদ হলো উদ্যোগ, উদ্যোক্তা,পরিশ্রম, সততা, বুদ্ধিমত্তা, ঝুঁকি গ্রহণ করার সাহস ইত্যাদি। বর্তমানে আমাদের দেশে মোট জনসংখ্যার এক- তৃতীয়াংশ হচ্ছে যুবক- যুবতী। কিন্তু আমাদের দেশের অনেক যুবক- যুবতী আজকাল ব্যবসা করতে চায়। কিন্তু অধিকাংশ যুবকের পুঁজি কম থাকায় ব্যবসা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমাদের অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তাহলেই কেবল আমরা কম পুজিতে লাভজনক ব্যবসা শুরু করে সফল হতে পারব।আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে ব্যবসায় উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা মূলতঃ কি সেটা একটু জানা প্রয়োজন।লাভবান হওয়ার আশায় লোকসানের সম্ভাবনা জেনে ও ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার জন্য দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাওয়া ও সফলভাবে পরিচালনাই ব্যবসায় উদ্যোগ। আর যিনি ব্যবসায়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনিই হলেন মূলত উদ্যোক্তা।
উদ্যোগ গ্রহণে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, আর তাই নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অতীব গুরুত্বপূর্ণ। যেমন --
১) উদ্যোগ ও উদ্যোক্তার সমন্বয়ে আমাদের দেশে প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানব সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা যায়।
২) ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে জাতীয় আয় বৃদ্ধি পায়। তাই এটি জাতীয় যায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩) সরকারের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে দেশে শিল্প- কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় যা বেকার সমস্যা দূর করে। প্রাইভেট ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সবাই নিজের উদ্যোগ প্রতিষ্ঠাকল্পে বেকারত্ব দূরীকরণে অবদান অনস্বীকার্য।
৪) যেহেতু, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ ও জনবহুল দেশ। উদ্যোক্তা দেশে অদক্ষ জনগোষ্ঠীকে উৎপাদনশীল কাজে নিয়োজিত করে দক্ষ মানবসম্পদে রুপান্তর করতে পারে।আর তাই, যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবসায় উদ্যোগ ও উদ্যোক্তার ভূমিকা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল উন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের মূল ভিত্তিই হচ্ছে উদ্যোক্তাদের সক্রিয় ভুমিকা। আর তাই বাংলাদেশের মতো বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ও ব্যবসায় উদ্যোগ ও উদ্যোক্তার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
আর তাই আজকে আমি নিচে কিছু উদ্যোগ গ্রহণের বিষয় তুলে ধরবো, যা কিনা একজন নতুন উদ্যোক্তাকে অনেক সাহস যোগাবে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের উপযুক্ত ক্ষেত্রসমূহ:
আমরা সবাই প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু করতে চাই। আমরা সবাই ভাবি কিভাবে নতুন কিছু করে আয় বাড়ানো যায়, অল্প পুঁজি দিয়ে নতুন ব্যবসা শুরু করা যায়, কিভাবে অল্প টাকায় ব্যবসা করে উন্নতি করা যায়, সীমিত বা কম মূলধন নিয়ে কম ঝুঁকির ব্যবসা শুরু করা যায় ইত্যাদি। এক্ষেত্রে আমাদের কম পুজির লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তাছাড়া অল্প পুজিতে বড় উদ্যোগ নিলে সেটা বাস্তবায়নে সম্ভাবনা খুব একটা নেই, উল্টো সীমিত মুল্ধন সহ হারানর সম্ভাবনা নয়, বাস্তবতাই বেশি। তাই আসুন আমরা কিছু কম পুজিতে শুরু করা যায় এমন কিছু ব্যাবসার ধারণা নেই। এগুলো উদাহরন স্বরূপ। তবে মনে রাখতে হবে, আমাদের কোন কাজকেই ছোট করে দেখতে নেই। সবাই তাঁর অবস্থান অনুযায়ী উদ্যোগ গ্রহন করবেন। যেমন -
১) স্থানীয় / লোকাল ও সীমাবদ্ধ চাহিদা রয়েছে এমন বিশেষ পণ্য - ছোট ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে মূলধন কম তাই ঝুঁকির পরিমাণ ও কম। স্থানীয় ও সীমাবদ্ধ চাহিদার পণ্যের ব্যবসা কম পুঁজি দিয়ে লাভজনকভাবে পরিচালনা করা যায়।যেমন - মাছ, মাংস, তরি-তরকারি ইত্যাদি ব্যবসা।
২) দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্যসামগ্রীর ব্যবসা - আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই অল্প টাকা দিয়ে নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের ব্যবসা লাভজনকভাবে পরিচালনা করা যায়।যেমন - মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, ঔষধের ফার্মেসি ইত্যাদি।
৩) কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা - ব্যাবসা মানেই ঝুঁকি, তবে কম ঝুঁকিপূর্ণ অথচ মুনাফার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে এমন ব্যাবসা দিয়ে শুরুটা করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আটা, ময়দা, ধান, চাল ইত্যাদি অল্প টাকার ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে উপযুক্ত। আমরা
৪) পচনশীল দ্রব্যের ব্যবসা - কিছু কিছু পণ্যের ব্যবসায়ে লসের পরিমাণ লাভের চেয়ে অনেক কম। এসব ব্যাবসায় ঝুঁকির পরিমান একটু বেশি, যদি না সময়মত বিক্রি করতে না পারেন। তমে বাজার ও রিপিট কাস্টমার একবার তৈরি করতে পারলে ঝুঁকির সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। সেক্ষেত্রে শাকসবজি, ফলমূল, দুধ, ডিম,মাছ ইত্যাদি ব্যবসায়ে কম টাকা দিয়ে লাভ করা যায়।
৫) কৃষিজ পণ্যের ব্যবসা - বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। আর তাই এদেশে কৃষি পণ্যের ব্যবসা করে কম পুজি দিয়ে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। কেননা আমরা নিত্যদিন আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও চাহিদা অনুযায়ী নানাধরনের পন্য উতপাদন করে থাকি, আর সেই পন্য খুব সহজেই হাতের নাগালেই ক্রয় করে বিজনেস শুরু করতে পারি। যারা কম টাকা দিয়ে নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান তাদের ক্ষেত্রে কম পুজির এসব ব্যবসা সর্বাধিক উপযুক্ত।
৬) প্রত্যক্ষ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান - গ্রাহকদের সরাসরি সেবাদানের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ভিত্তিতে সংগঠিত ও পরিচালিত হয়। যেমন - সেলুন, লন্ড্রি, বিউটি পার্লার, ফটোকপি, কম্পিউটার কম্পোজ ইত্যাদি। এসব ব্যবসায়ের সুবিধা হল সময় কম লাগে, টাকাও কম লাগে এবং ঝুঁকির পরিমাণও কম থাকে।
৭) নগদ বিক্রয় - যেসব ব্যবসায়ে নগদ বিক্রয়ের পরিমাণ বেশি থাকে সেসব ব্যবসা অল্প টাকা বা কম টাকা দিয়ে গঠন ও পরিচালনা করা যায়। যেমন - মিষ্টির দোকান, চা - নাস্তার দোকান, পানের দোকান, ফেরিওয়ালা ইত্যাদি।
৮) ব্যক্তিগত ক্রিয়েটিভিটি / নৈপুণ্য প্রদর্শন - কিছু কিছু ছোট ব্যবসায় ব্যক্তিগত নৈপুণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে সফলভাবে পরিচালনা করা যায়। যেমন - শিল্পী, অভিনয়, চিত্রকর, কামার, কুমার, স্বর্ণকার ইত্যাদি। এসব বিষয়ে শুধু প্রয়োজন নিজের ক্রিয়েটিভিটি। আপনি নিজেকে কতটুকু প্রদর্শন করতে পারেন।
৯) সাময়িক ব্যবসা - কোন বিশেষ মৌসুমে সাময়িকভাবে গড়ে ওঠা ব্যবসা ছোট ব্যবসা হিসেবে পরিচালিত হয়। যেমন - গ্রাহকদের সরাসরি সেবাদানের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ভিত্তিতে সংগঠিত ও পরিচালিত হয়। যেমন - সেলুন, লন্ড্রি, বিউটি পার্লার ইত্যাদি। এসব ব্যবসায়ের সুবিধা হল সময় কম লাগে, টাকাও কম লাগে এবং ঝুঁকির পরিমাণও কম থাকে। এখানেও দরকার নিজের কারিগরি দক্ষতা ও নৈপুণ্য প্রদর্শন।
১০) পরিবর্তনশীল ও সামাজিক পরিবেশের চাহিদাবিশিষ্ট পণ্য - যেসব পণ্যের চাহিদা সদা পরিবর্তনশীল সেসব পণ্যের উৎপাদন ও বন্টন ছোট ব্যবসায়ের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া সুবিধাজনক। যেমন - পোশাক তৈরি, আসবাবপত্রের দোকান ইত্যাদি। এসব পণ্যের চাহিদা দ্রুত পরিবর্তন হয় বিধায় কম পুঁজি ও কম ঝুঁকির ব্যবসা হিসেবে সফলতার সাথে পরিচালনা করা যায়।
মোটকথা, উদ্যোক্তারা নিজের ব্যবসা সম্পর্কে গবেষণা করে দেশের মাঝে কোন ব্যবসা কিভাবে করলে লাভবান হবেন সেই সম্পর্কে সবাইকে ধারণা দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে যারা নতুন ব্যবসা শুরু করে লাভবান হতে চায়, তাদের জন্য কম পুজির ব্যবসা অধিকতর উপযুক্ত। কারন এখানে তাঁর ইনভেস্টমেন্ট বা মুলধন কম, তাই ঝুকিও তুলনামুলকভাবে অনেক কম কিন্তু তুলনামূলকভাবে লাভ এর সম্ভাবনা অনেক বেশি।তাই যারা নতুন করে ব্যবসা করার কথা ভাবছেন তারা কম পুজির ব্যবসা দিয়ে সফল হয়ে বড় ব্যবসায়ের পরিকল্পনা করুন। এতে আপনার অভিজ্ঞতা হবে এবং ব্যবসা লাভজনকভাবে পরিচালনা করা যাবে। পরিশ্রম আর আগ্রহের সমন্বয় ঘটাতে পারলেই অবশ্যই মিলে যাবে নতুন উদ্যোক্তাদের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
তাই আপনার যেই কাজে অভিজ্ঞতা ও আগ্রহ বেশি সেই কাজের উপর ভিত্তি করেই ক্যরিয়ার গড়ে তোলার চেস্টা করি।
 
👉আপনাদের যে কোন ধরনের ওয়েবসাইট, সফটওয়্যার, ডোমেইন, হোস্টিং। ডিজিটাল মারকেটিং এর সেবা পেতে যোগাযোগ করুন। উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে পরিপুরনভাবে প্রস্তুত করতে জয়েন করুন আমাদের উদ্যোক্তাদের জন্য বিজনেস নেটওয়ার্ক উদ্যোক্তা 64 কমিউনিটিতে। আর ফ্রি একাউন্ট তৈরী করে আনলিমিটেড নেটওয়ার্ক তৈরী করুন।
আমাদের উদ্যোক্তা 64 কমিউনিটিতে ফ্রি একাউন্ট করুন এবং প্রয়োজনে
আমাদের Android Apps ইন্সটল করে নিন নীচের লিঙ্ক থেকে।
👉ওয়েবসাইট এ রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করুনঃ https://uddokta64.com/
👉ডাউনলোড লিংক: https://uddokta64.com/app-release.apk
Web Service পেতে ভিজিট করুনঃ https://webhostingbd.net
 
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
পরবর্তী পোস্টে আরও বিস্তারিত আসছে...।। সাথেই থাকুন।
🙋‍♂️আমি মমিনুল ইসলাম
🙋‍♂️উপদেষ্টা, দিনাজপুর অনলাইন শপিং গ্রুপ
🙋‍♂️ শিক্ষক, ব্লগার ও উদ্যোক্তা
💁‍♂️কাজ করছি আইটি বিজনেস ও উদ্যোক্তা উন্নয়নেে।
👉স্টল নংঃ- ০১
📲01717112860
Love
4
Search
Categories
Read More
Other
EA Sports FC 24: Confirmed Release Date, Ultimate Team Details & More
EA FC 24 is set to release on September 29, transforming the beloved FIFA series into a new,...
By igmeet fc24coins 2023-08-23 02:22:18 0 1K
Digital Marketing
What is Parlay Betting? Everything You Need to Know About Parlay Betting
Parlay betting, often referred to simply as "parlays," is a popular form of wagering among...
By Bao Khang Pham 2024-07-17 03:05:46 0 171
Other
Crafting Recipes Crafted Items — Diablo 2 Resurrected Guide
In Diablo 2: Resurrected (D2R), crafting is a gameplay mechanic that allows players to create...
By igmeet d2rrunes 2023-11-03 08:03:39 0 533
Shopping
IGMeet Diablo 4 Guide - What is the fastest way to level up in Diablo 4
It will be a real challenge for most players to reach level 100 in D4, taking up to 150 hours to...
By igmeet d4level 2023-07-28 01:38:08 0 1K
Other
Best Beginner Class For ESO - Dragonknight, Templar, Sorcerer
The three recommended classes are Templar, Warden, and Dragonknight because these are more...
By igmeet esogold 2023-09-15 08:01:42 0 649